সেনাবাহিনীতে চাকরী দেবার নামে প্রতারনা , ধৃত ২

11th August 2021 12:48 pm বর্ধমান
সেনাবাহিনীতে চাকরী দেবার নামে প্রতারনা , ধৃত ২


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : এক যুবককে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করল বুদবুদ থানার পুলিশ। অশোক বার এবং বাবলু দত্ত নামের ধৃত দুইজনকে বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে বুদবুদ থানার পুলিশ।
বুদবুদ থানার পুলিশ সূত্রে খবর  মঙ্গলবার অশোক বার ও বাবলু দত্ত একটি আর্মি লেখা গাড়ি করে উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বাসিন্দা দীনেশ সাহানি নামের এক যুবককে সেনাবাহিনীর চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাকে পানাগড় সেনাছাউনির এক নম্বর গেটের সামনে নিয়ে এসে ঘোরাঘুরি করে।
সেনা জওয়ান দের সন্দেহ হলে তারা পানাগড় সেনা ছাউনির গোয়েন্দা দপ্তর কে বিষয়টি জানালে। পানাগড় সেনা ছাউনির আধিকারিকরা এবং সেনা গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। অশোক বার ও গাড়িচালক বাবলু দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তারা জানতে পারেন দিনেশ সাহানি নামের ওই যুবককে সেনাবাহিনীর গার্ডের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাকে সেনাবাহিনীর নকল ডিপেন্ড কার্ড বানিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি সেনায় চাকরি করার জন্য যে বন্ড পেপারে সই করানো হয় চাকরি প্রার্থীদের। সেই বন্ড পেপারের নকল কাগজ তৈরি করে তাতে দিনেশ সাহানি কে ভরসা দেওয়া হয় তার চাকরির পাকা হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার চাকরির স্থান পরিদর্শনের নাম করে তাকে পানাগড় সেনা ছাউনির ১ নম্বর গেটের সামনে নিয়ে আসা হয়। জানা গেছে দিনেশ সাহানি উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বাসিন্দা। কোলকাতায় রাজারহাটে তার মামার বাড়ি রয়েছে। মামার বাড়ি আসা যাওয়ার সূত্রে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গড়িয়ার বাসিন্দা পীযূষ কান্তি ঘড়াই এর সাথে তার পরিচয় হয়। সেখানে দীনেশ সাহানি কে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের রফা হয়। কথা ছিল চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরই মোটা অংকের টাকা দেবে দীনেশ সাহানি।
সেইমতো দীনেশ সাহানি কে কাজের জায়গা দেখানোর জন্য পীযুষ কান্তির সাগরেদ অশোক বার কোলকাতা থেকে বুদবুদে দীনেশ সাহানিকে নিয়ে এসে বুদবুদের এক প্রাক্তন সেনা কর্মীর গাড়ি ভাড়া করে পানাগড় সেনা ছাউনির গেটের সামনে নিয়ে আসে।
পানাগড় সেনা ছাউনির আধিকারিকরা ও সেনা ছাউনির গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরা অশোক বার ও গাড়ির চালক বাবলু দত্তকের বুদবুদ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বুদবুদ থানায় দীনেশ সাহানি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করলে। অভিযোগের ভিত্তিতে বুদবুদ থানার পুলিশ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা অশোক বার ও গাড়ির চালক মানকরের বাসিন্দা বাবলু দত্তকে গ্রেফতার করে বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে বুধবার পাঠায়। এই চক্রের সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তার তদন্তে নেমেছে বুদবুদ থানার পুলিশ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।